অছিয়তনামা : বাবুষা কোহলী

AP2

অমৃতা প্রীতমের নামে এই কবিতাটা কিছুদিন ধরে নানা পাতায় দেখছি। আজ জানলাম কবিতাটা বাবুষা কোহলি নামে এক জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত কবির লেখা। অমৃতার কবিতা শৈলীর সঙ্গে অদ্ভুত মিল। যাঁরা অমৃতাকে বা বাবুষাকে চেনেন বা চেনেন না, সবার জন্যে :

वसीयत…

मेरे मरने के बाद खंगालना मेरा कमरा
टटोलना हर एक चीज़
घर भर में बिन ताले के मेरा सामान बिखरा पड़ा है

সজ্ঞানে এবং  সম্পূর্ণ সুস্থতায়
আমি আজ আমার ইচ্ছেগুলো লিখে রাখছি।

আমি মরলে, আমার ঘরটাকে তছনছ কোরো

জরিপ কোরো সমস্ত টুকরো টাকরা যা ছড়িয়ে আছে

আমার  বাড়ি ঘরে।

আমার  সমস্ত স্বপ্ন দিও

সেই সব মেয়েগুলোকে

রান্নাঘর আর বিছানার মধ্যে

যাদের পৃথিবীটাই হারিয়ে গেছে।

বহ বছর আগে ভুলেই গেছে

স্বপ্ন দেখতে কেমন লাগে।

বৃদ্ধাশ্রমে  ছড়িয়ে যাক আমার হাসি

সেইসব মানুষগুলোর মধ্যে,

যাদের কৃতি ছেলে মেয়েরা

নিরুদ্দেশ

চটকদার মার্কিন  শহরগুলোতে।

আমার টেবিলে কিছু রং আছে।

যে মেয়েটার স্বামীকে

তেরঙ্গা পতাকায় মুড়ে কাল সন্ধ্যায়

শুইয়ে দেওয়া হয়েছে,

তার রক্তমাখা শাড়ির পাড়ের সঙ্গে

মানানসই করে বাকি শাড়িটাও

ওই রঙে ছুপিয়ে দিও।

কবিদের দিও আমার চোখের জল।

প্রতি বিন্দু জন্ম দেবে একটা কবিতার।

পরীক্ষিত সত্য।

আমার যশ প্রতিপত্তি যাক

সেই  মেয়েমানুষটার কাছে

যে তার শরীর  বেচেছে

নিজের মেয়েটাকে লেখাপড়া শেখাতে।

খুঁজে পেতে ধরে এনো  তরুণ প্রজন্মকে ,

আর তাদের শিরা ফুঁড়ে  ছড়িয়ে দিও

আমার ঘেন্না আর বিদ্বেষ

বিপ্লবে হাতিয়ার হবে।

আমার পরমানন্দের মালিকানা সেই সুফির,

যে ঈশ্বরের খোঁজে

বেরিয়ে পড়েছে সব ছেড়ে।

শেষমেষ যা প’ড়ে থাকবে :

আমার হিংসা

আমার লোভ

আমার রাগ

আমার মিথ্যে

আমার  আত্মম্ভরিতা

এইসব

দাহ হবে আমার সঙ্গে।

বিঃ দ্রঃ

আমার বইগুলো ডাকুর জন্যে।

আমার জামাকাপড় তো আর ওর গায়ে হবে না।

Published by purnachowdhury

I am a person of and for ideas. They let me breathe.

Leave a comment