পূর্ণলক্ষ্মীর একাল সেকাল (ত্রয়োবিংশতি পর্ব )

Hajar_Churashir_Maa

দেওয়াল লিখন, সিনেমার পোস্টার, এইসব দিয়ে একটা শহরের চরিত্র বোঝা যায়। সত্তরের দশকে উত্তম সুচিত্রার পোস্টারকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তম-অপর্ণা, সৌমিত্র-তনুজার সাদা কালো বা সেপিয়া পোস্টার। তবে রোম্যান্টিক ছবির পাশাপাশি তৈরী হচ্ছে রাগী চলচ্চিত্র। মৃণাল সেন, ঋত্ত্বিক ঘটক আর খানিকটা সত্যজিৎ রায়।আরও বেশি কথা বলে কলকাতার মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত গলির দেওয়াল গুলো। ‘বন্দুকের নলই শক্তির উৎস’ দিয়ে তো গল্পের শুরু। আস্তে আস্তে দেওয়াল লিখনগুলো আরও পেশাদারি হয়ে উঠেছে। শ্লোগানের পাশাপাশি, মাও সে তুং এর টুপি পরা মুখ, ময়দানে জনসভা, চারু মজুমদারের নামে শপথ গ্রহণ…লিখনের রংও বদলেছে। রক্ত গড়ানো অক্ষরে: কমরেড অমিতাভ, তোমাকে আমরা ভুলবোনা। কেওড়াতলার দিকে, বিশেষ করে শ্মশানের দেওয়ালে পোড়া কাঠকয়লা দিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা: কমরেড বাপি, লাল সেলাম।

বাচ্চা ছেলে মেয়েদের একটা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকে। হাওয়া বাতাস বোঝে ঠিকই, কিন্তু বোঝাতে পারেনা। বাতাসে একটা কিসের গন্ধ পায় সোনা। পর্ণশ্রীর পদ্মপুকুরের বাড়িটার সব ভালো কিন্তু রাত্রিবেলাটা কিরকম গা ছমছম করে। মার মুখ চোখ কিরকম আড়ষ্ট হয়ে যায়। সোনার নিরন্তর বকবকানির দুটো একটা হালকা উত্তর দেয়। এখন শিখে গেছে সোনা। সন্ধ্যে হলে কম কথা বলতে হয়। মা মাঝে মাঝেই ঘড়ির দিকে তাকাবে। আটটা বাজলে বলবে: “সোনা, তুমি খেয়ে নাও। আমি বাবা এলে খাবো”। খেয়ে নিয়ে একটা বই নিয়ে শুয়ে থাকে সোনা। খুব অন্ধকার বাইরে। মা এবার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াবে। খানিক বাদে রাস্তায় একটা পায়ের শব্দ পাওয়া যাবে। মা খুব তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজায় দাঁড়াবে। সিঁড়িতে পায়ের আওয়াজ থামলেই মা দরজা খুলে দেবে। বাবকে বেল বাজাতে হয়না একদিনও। মা তার আগেই দরজা খুলে দেয়। সোনা বই মুড়ে চোখ বোজে। আর কোনও ভয় নেই। বাবা বাড়ি ফিরেছে।

যত সন্ধ্যে হয়ে আসতো, ততই শিলার অস্থিরতা বাড়তো। ১৯৬৯-৭০ সময়টা ভালো না।  “ফেলে রেখে আমায় বন্ধনে/মুক্তির লড়াই লড়বে বলে/ছেলে গেছে বনে” কথাটা খুব আবেগ-মেদুর শোনালেও খুবই গোলমেলে। মুক্তির লড়াইটা যে ঠিক কিভাবে লড়া হবে সে বিষয়ে যোদ্ধাদের ধারণা খুব যে পরিস্কার ছিলো তা নয়। পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থার দালাল বলে নেতারা যাদের সনাক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ। সুতরাং শিলার স্বামীও টার্গেট। টার্গেট কথাটা খুব ছড়িয়েছিলো তখন পশিম বঙ্গে। ঐ সময়েই আবার জ্ঞানেশ জড়িয়ে পড়েন শিক্ষক আন্দোলনে। কলেজ স্ট্রীট সংসদের অফিস থেকে বেহালায় ফিরতে ফিরতে ন’টা দশটা।

পদ্ম পুকুর জায়গাটা যতই সুন্দর হোক, সন্ধ্যে হলেই শুনশান। রাস্তার একদিকে একটা মস্ত লেক, আর অন্যদিকে একটা মস্ত মাঠ। সকালবেলা মাঠটা রোদে আলোয় ঝকঝক করে কিন্তু রাতের অন্ধকারে সে মাঠ শোষণবাদ ধ্বংস করার যুদ্ধক্ষেত্র। নিজের ছায়া আর পরের ছায়া গুলিয়ে যায়, আর অনেক কিছু ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব অলীক বলে মনে হয়না আর। পেছন থেকে ঢুকে যেতে পারে একটা ছোরা। অথবা হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে ঘিরে ধরতে পারে চারটে ছায়া মানুষ। তাদের একজনের হাতে প্যাঁচানো সাইকেলের চেন।  সেটা তীর বেগে ছুটে আসবে কপাল আর চোখ লক্ষ্য করে। পরের দিন মাঠের ঐদিকটা দিয়ে কেউ যাবেনা।

–তোমার এত দেরী হলো যে?

–অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাকে ওরা কিছু করবে না। বেশীরভাগই আমার ছাত্র।

বিশ্বাস, আস্থা, শ্র্দ্ধা, পচা-গলা সমাজের এই সব মূল্যবোধ যে সংশপ্তকরা ত্যাজ্য বর্জ্য করবে, সত্তরের গোড়ায় তত বোঝা গিয়েছিলো কি? ১৯৭১ র ১০ই জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতার মধ্যে সেই পচা গলা সমাজের এক প্রতিনিধি যখন তাঁর নিজের ছাত্রদের উদ্যত ইস্পাতের রডের আঘাত আর গোটা চারেক ছোরার আক্রমণ শরীর জুড়ে নিচ্ছিলেন, তখন তিনিও কি একই কথা ভেবেছিলেন? কে জানে।

যাক গে…মোট কথা একরকম শিলার জেদেই পর্ণশ্রীর সেই সুন্দর বাড়ি ছেড়ে মুদিয়ালিতে চলে এসেছিলেন জ্ঞানেশ। শিলা তাতেই খুশি। মাঠ ঘাট বনবাদাড়ের চেয়ে বড় রাস্তা ভালো। সেখান অন্ততঃ রাস্তার আলো আছে। উমেশের দোকান রাত এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে। পূর্ণলক্ষ্মীও বলেছিলেন, “হাঁপ ছেড়ে বাঁচলুম…যা একগুঁয়ে বর তোমার!” রাতেরবেলা মাঠ পেরোতে না হলেও চন্দ্র মণ্ডল লেন, গোপাল ব্যানার্জী লেন, বাওয়ালী মণ্ডল লেন তখন খবরের কাগজের ভাষায় ‘উপদ্রুত অঞ্চল’ । রাতের বেলা গুলো এখানেও খুব ভয় করে সোনার। ঠিক জানলার নিচে মাঝরাতে পায়ের আওয়াজ শোনা যায়; মনে হয় কারা যেন দৌড়ে বেড়াচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে হুইসিল বাজে।মনে হয় কেউ একটা বুট জুতো পরে দৌড়োচ্ছে। সোনা চাদর দিয়ে কান ঢেকে চোখ বুঁজে শুয়ে থাকে তারপর কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে শুনতে পায় মা আর শ্যামলীদিদির চাপা গলায় কথা: কাল রাতের বেলা বোস বাড়ির বড় ছেলেটা মরে গেলো গো মা…চিলে কোঠায় বোমা বাঁধতেছেলো ফেটে গেছে…দারোগাবাবু এয়েছলো, পাড়ার ছেলেদের ভ্যানে করে তুলে নে গ্যালো।” এই ছেলেদের অনেকেই যে আর ফিরবে না, সেকথা বোঝার বয়েস অবশ্য সোনার তখনও হয়নি। ১৯৭০-৭১ এ সোনা ছোট। লাল রিবন বেঁধে স্কুলে যায়। পার্কের কাছে বাস আসে। শ্যামলীদিদি আনা নেওয়া করে।

কিছু কিছু সময় দাগ রেখে যায়। মনে। দেওয়ালে। দুঃস্ব্প্নে। তারও দশবছর পরে কলেজের ক্যান্টিনের অন্ধকার এককোণের দেওয়ালে খুব আবছা হয়ে যাওয়া কয়েকটা লাইন দেখে মাথার মধ্যে পুলিশের বুটের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলো সোনা:

এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;

জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংস স্তূপ-পিঠে।

চলে যেতে হবে আমাদের।

চলে যাব তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ

প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,

এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

তারই অল্প কিছুদিন আগে পড়া ‘হাজার চুরাশির মা’।

                                                                                             ***

Little_Girl_In_Christmas_Dress

খুকুর কথা…

তবে এই সব গোলমেলে ব্যাপারের সঙ্গে লাহিড়ী বাড়ির কোনও সম্পর্ক নেই। এই সময়ে ও বাড়িতে যে বড় হচ্ছে, তার নাম অঞ্জনা ওরফে খুকু। পূর্নলক্ষ্মীর চুয়ল্লিশ বছর বয়সের মেয়ে। বড়লোকদের বাড়ির ছেলেরা নক্শাল হয়, বাড়ি ছাড়ে, কিন্তু বড়লোক পাড়ার বড় বড় গাছপালায় ঢাকা রাস্তা হঠাৎ বিস্ফোরণে অন্ধকার হয়ে যায়না। পুলিশের ভ্যান ভোর রাতে কোনও বাড়ির সামনে নিঃশব্দে এসে দাঁড়ায় না। কিন্তু ঘটনাটা এইরম,এইসব ছায়া সুনিবিড় জগতের বাইরেও একটা পথিবী আছে।সে পৃথিবীটাকে এড়িয়ে চলা যায়না। বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। কলেজ ইউনিভার্সিটি যেতে হয়। ঐ সময়ে খুকু কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাসে এম্ এ ক্লাসে পড়ছে। যাদবপুর শিবপুরের মত কলেজ স্ট্রীটও তখন মুক্তাঞ্চল। খুকুর ওসব বিপদের মধ্যে না পড়াই ভালো। তাছাড়া ক্লাসই বা হয় কোথায়! ও এম্ এ ক্লাসের পড়া করুণাই পড়িয়ে দেবে এখন। বই এনে দেওয়া, নোট তৈরী করা, উত্তর দেখে দেওয়া, সব ছোড়দি। এমনকি ফাইনাল পরীক্ষার সময় ট্যাক্সি করে হলে পৌঁছে দেওয়া, নিয়ে আসা, তাও। আর সব পরীক্ষার্থীরা  যা খুশি করুকগে যাক। ওরা সব পাকা পোক্ত ছেলে মেয়ে। বোমা পড়লে ছুটোছুটি করে নিজেকে বাঁচানো খুকুর ‘কম্ম’ না।

এইভাবেই চার চারটে মায়ের মত দিদির আঁচলের ছায়ায় খুকুর আর বড় হয়ে ওঠা হয়না। খুকু যতদিনে জন্মেছে, পূর্ণলক্ষ্মীর মা হওয়ার বিহ্বলতা আর দায়িত্ব, দুটোতেই ক্লান্তি এসেছিলো নিশ্চয়ই। বস্তুতঃ খুকুই একমাত্র সন্তান যার জন্ম হয়েছিলো শিশুমঙ্গল হাসপাতালের মাতৃসদনে। তারপর দীর্ঘদিন অসুস্থতা। প্রথম দুটো বছর শোভনাই মা। মুশকিল বাধলো শোভনার বিয়ের পরে। করুণা দার্জিলিংএ। অণিমা নতুন কলেজ, এস্রাজ এইসব নিয়ে খানিকটা ব্যস্ত। আড়াই বছরের লিকপিকে মেয়েটাকে কুড়িয়ে নিয়েছিলো শিলা। তখন সে ম্যাট্রিকের জন্যে তৈরী হচ্ছে। পড়তে পড়তে খুকুকে কোলে নিয়ে ঝিনুক বাটিতে দুধ খাওয়ানো, কাঁদলে বুকে চেপে বারান্দায় পায়চারি করা। এইভাবেই একটি কিশোরী আর একটা নিতান্ত শিশু পাশাপাশি বেড়ে উঠেছিলো বেশকয়েক বছর ধরে। শিলা যখন আই এ পড়তে ঢোকে, খুকুকে কোলে করে নিয়ে গিয়ে নিজের জমানো হাতখরচের টাকা দিয়ে সটান ভর্তি করে এসেছিলো বেলতলা গার্লস্ হাই স্কুলে। জিজ্ঞাসাবাদ কিচ্ছু না। পূর্ণলক্ষ্মী শুধু বলেছিলেন, “ও মা, অত দূরের স্কুলে দিলি?” শিলা পাকা গিন্নীর মত বলেছিলো. “অনেক ভেবে চিন্তেই করেছি। ওদের বাস আছে। আমি কলেজ যাবো। খুকুকে আনা নেওয়া করবে কে!” তা ঠিক। পূর্ণলক্ষ্মী আর কথা বাড়াননি। কি দরকার বাপু! এমনিতেই মায়ের ওপর রাগ হ’লে খুকুকে খাটের ওপর ঝুপ করে বসিয়ে দিয়ে বলে. “আমি পারবো না যাও…যার মেয়ে সে দেখুক! আমি কি ওর মা? ”

২০০৯-এ শিলা যখন মারা যা’ন খুকু আমেরিকা থেকে উড়ে গিয়েছিলো শেষ কাজ করতে। কোনো একজন অতি-জিজ্ঞাসু কে বলেছিলো, “শিলাদি কি আমার দিদি নাকি? ও তো আমার মা! মায়ের কাজ মেয়ে করবে, এতে এত surprised হওয়ার কি আছে? strange!”

মোট কথা শিলাদির যখন বিয়ে ঠিক হয় মোটেও ভালো লাগেনি খুকুর। পায়ে পায়ে শিলাদির আর সেজদির ঘরে গিয়ে জিগেস করেছিলো, “শিলাদি, ওরা বলছে তুমি নাকি ডলুদাকে বিয়ে করবে। সত্যি?” কনে সাজতে বসার আগে খুকুর চুলে রিবন বেঁধে, নিউ মার্কেট থেকে কিনে আনা লাল ফ্রক পরিয়ে, পাউডার মাখিয়ে, বেশী খেয়ে ফেলতে বারণ করে সাজতে বসেছিলো শিলা। তারপর আর খুকুকে দেখা যায়নি। পরের দিন সকালবেলা শিলার বাসর ঘরে ঢুকে সোজা জ্ঞানেশের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলো, “ আপনি এত বড় ছেলে চোখে কাজল পরেন, লজ্জা করেনা?” তারপর অভিযুক্ত আসামীর অট্টহাস্য শুনে ভ্যাঁ করে কেঁদে পালিয়ে বেঁচেছিলো। তখন খুকুর বয়েস সাত।

শিলাদি কোথায় দূর দেশে চলে গিয়েছিলো ডলুদার সঙ্গে। খুকু হাঁ করে বসে থাকতো কবে গ্রীষ্মের ছুটি হবে। শিলাদি আসবে, আর রোজ সন্ধেবেলা বিনুনি বেঁধে দিয়ে হারমোনিয়ম নিয়ে বসে তাকে গান শেখাবে। বলবে:
— “খুকু আগে আমি এক লাইন গাইবো, তারপর তুমি আর আমি একসঙ্গে। ধরো: “দূরদেশী সেই রাখাল ছেলে আমার বাটের বটের ছায়ায়…”

(ক্রমশঃ)

 প্রচ্ছদ: Google

Doll: http://cdn.freecoloringsheets.net/samples/Christmas/Little_Girl_In_Christmas_Dress.png

Published by purnachowdhury

I am a person of and for ideas. They let me breathe.

4 thoughts on “পূর্ণলক্ষ্মীর একাল সেকাল (ত্রয়োবিংশতি পর্ব )

  1. সেই বারুদ ও রক্তের গন্ধমাখা দিনগুলিতে গড়িয়াহাট রোডের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে স্বামীর ঘর করতে পাইকপাড়া যেতে হয়েছিল। গিয়েছিলাম সানন্দে,স্বেচ্ছায়। স্কুলের দিদিমণির ২নম্বর বাসে চেপে বালিগঞ্জ থেকে পাইকপাড়া পৌঁছুতে সন্ধ্যে গড়িয়ে যেত। খবরের কাগজের অফিস থেকে বাড়ি পৌঁছুতে আমার স্বামিটির রাত এগারোটা বেজে যেত। তার মধ্যে শুরু হয়ে যেত নিত্যকার গোলমাল। পাইপগানও বোমার বিকট আওয়াজ,পুলিশের বুটের শব্দ। ট্রাম থেকে নেমে এক অন্ধকার মাঠ পেরিয়ে আমার স্বামী বাড়ি আসতেন। ভয়ে ভয়ে কাটতো আমার। তোমার লেখা পড়ে সে সব কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। পূর্ণা,অসাধারণ!

    1. আল্পনাদি, খুবই ছোট ছিলাম, কিন্তু আতংকটা মনে গেঁথে আছে চিত্রকল্প হয়ে।

Leave a reply to alpanaghosh65 Cancel reply